, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


রাজশাহী ও ফেনীর ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন

  • আপলোড সময় : ০৫-০১-২০২৪ ১২:৪০:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০১-২০২৪ ১২:৪০:২১ অপরাহ্ন
রাজশাহী ও ফেনীর ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন
এবার রাজশাহী ও ফেনীর ৪টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার ৫ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেনী সোনাগাজীতে চর সাহাভিখারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়।

অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি রাতে রাজশাহীতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছে, রাজশাহীর তিনটি নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় দুটি ও অপরটি বাগমারায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

এর মধ্যে বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এছাড়া বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের গনিপুর আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়েরও কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করব।

এদিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, দু’টি ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগানোর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেনী জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছে, সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্টোল ঢেলে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন বিরোধী জোট অথবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে পুলিশ এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার—টেবিল পুড়ে যায়।

এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকালে সোনাগাজী উপজেলা সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান এবং সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, সকাল ৭টার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। আগুন লাগার কারন উদঘাটনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন অন্যদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার—টেবিল পুড়ে যায়।
 
এ সময় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ জানান, স্কুলের অডিট চলাকালে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীনকে অব্যাহতি দেন সভাপতি ডা. আবদুল হক। এনিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। ভোটের সময় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।